১৮,টি পূরণের রচয়িতা ভগবান শ্রী ব্যাস দেব~
জগৎ গুরু বেদব্যাস মহামুনি ছিলেন ভগবান শ্রী বিষ্ণুর অবতার ! একদিন G8 পরাশর নদী পার হতে গিয়ে দেখলেন যে এক মৎস্য কন্যা জেলেনি একটি নৌকা নিয়ে নদী পার হচ্ছে, ঋষি পরাশর তাকে বললেন আমাকে তুমি পার করে দাও এই বলে মুনি নৌকায় উঠলেন । যুবতী তরুণী অপরূপ সুন্দরী শ্যামলা বরণ সে রূপ দেখিয়া মুনির হরিল মন, মুনি পরাশর সেই জেলেনীর কাছে রতি পার্থ্না করলেন তুমি আমাকে তোমার রতি দাও । কামিনী বলে আমি তা কুমারী আমার বিবাহ হয় নি আমি কি প্রকারে আপনাকে রতি দিবো, আমার দেহ মাছের মতন গন্ধ আমি সর্বদা নদীতে মাছ ধরি বলে ।
মুনি বললেন আমি তোমাকে পদ্ম গন্ধ করিয়া দিতে পারি তুমি যদি আমার সহিত মিলিত হও , এক সর্ত্বে যদি আপনি আমাকে বিবাহ করিতে পারেন মুনি বললো
তাহাই হবে । দুজনে রতি বাসনায় মিলিত হলো তারপর মুনি চলে গেলেন কিন্তু তিনি আর ফিরলেন না । দশ মাস গর্ভ ধারণের পর পদ্ম গন্ধা সত্যবতী এক অপূর্ব দেব শিশু জন্ম দিলেন , কুমারী ঘরে থাকলে অনেকেই
অনেক কথা বলবে তাই গোপনে সন্তান নিয়ে
সত্যবতী বনে গিয়ে বাস করতে লাগলেন ।
বিশালাকার ও কৃষ্ণ বর্ণ তাই তার নাম হলো
কৃষ্ণদৈপ্পায় ন বেদব্যাস অল্প সময়ের মধ্যে তিনি মহাজ্ঞানী ও সর্ব শাস্ত্রে বিশারদ হলেন ,
এই সেই মহামুনি বেদব্যাস ব্যাস পূর্ণিমায়
আমরা যার পূজা করিয়া থাকি । ব্রহ্মা বললেন যে দ্বৈপায়ন তোমাকে ১৮ টি পুরাণ
শাস্ত্র লিখতে হবে রাজী হলেন তিনি ডাকা হলো গণেশ কে , গণেশ বললেন একটা শর্ত আছে তুমি যেখানে বলা থামবে আমি আর লিখবো না ব্যাসদেব বলে তুমি যেখানে তোমার লেখা থামবে আমি আর বলবো না । ব্যাস বলতে লাগলেন ও গণেশ লিখতে লাগলেন নইমিশারন্য ব্যাস আশ্রমে ,
এই ব্যাসদেবের পুত্র হলেন পরম হংস চুড়ামনি শ্রী শুকদেব গোস্বামী পাদ যিনি অর্জুনের নাতি অভিমুন্নুর নন্দন মহারাজ পরীক্ষিত কে মৃত্যু আসন্ন সাতদিন ধরে শ্রীমদ্ভাগবত শুনিয়ে ছিলেন । যিনি ১৮, বছর ধরে মাতৃ গর্ভে ছিলেন পিতা ব্যাসদেব বলেন পুত্র মাতৃ গর্ভে থেকে বের হও মায়ের কষ্ট হচ্ছে , শুকদেব বলেন এই মায়াকে সরে যেতে বলুন আপনি কারণ মায়ার বন্ধন বড় সাংঘাতিক । ব্যাসদেব মায়াকে বলেন সরে যেতে মায়া বললো গরুর সিংয়ের উপর একটা শর্ষের দানা যতক্ষণ স্থির থাকে ততক্ষণ আমি সরে যেতে পারি । তাই হবে মায়া সরে যেতে শুকদেব গোস্বামী পাদ মায়ের গর্ভ থেকে বের হয়ে ছুটতে লাগলো ব্যাসদেব ও তার
পিছনে পিছনে ছুটতে লাগলো । পুত্র দ্বারাও
বলে এক সরোবরে অনেক যুবতীরা উলংগ অবস্থায় অবগাহন করছিল যুবক শুকদেব কে তারা লজ্জা নিবারন করলো না । অবাক হইয়া বললো তাদের আচ্ছা হে ললনা গণ আমার যুবক পুত্র এখান দিয়ে গেলো তাকে দেখে তো তোমরা নিজেদের লজ্জা নিবারন করলে না কিন্তু আমি তার বিদ্ধ পিতা তবে আমাকে দেখে তোমরা গায়ে বস্ত্র দিলে কেনো বলো ? তারা বলল হে ব্যাসদেব আপনার
পুত্রের মধ্যে আমরা কোনো মায়া দেখিনি
কারণ আপনার পুত্র আমাদের নগ্ন অবস্থায় সরোবরের দিকে ফিরেও তাকাল
না, অর্থাৎ তার নারী ও পুরুষ সম্বন্ধে কোনো জ্ঞান এবং অনুভবই নেই । কাম
বিষয়ে তার কোনো উপলব্ধি নেই, কাম যে কি তা সে জানেনা । তাই আমরা তাকে দেখে গায়ে কোনো বস্ত্র দেই নাই ।
কিন্তু আপনার তা আছে এবং আপনি জানেন কাম কি আপনার স্ত্রী আছে আর
ওই যে আপনার পুত্র চলে যাচ্ছে । নারী
বিষয়ক জ্ঞান কি তা আপনার পূর্ণ রূপ আছে, তাই আপনাকে দেখে আমাদের লজ্জা হয়েছিলো ।
। ব্যাসদেব আবার পুত্রের পিছনে যেতে লাগলেন তাও শুকদেব চলেই যাচ্ছে তখন ব্যাসদেব ভাগবতের শ্লোক উচ্চস্বরে
উচ্চারন করে পুত্র কে শোনাতে লাগলেন ,
" বরাপিরামাং মৃগ মদ তিলকং কুণ্ডলাক্রতং
কম্ভুং কণ্ঠং স্মিত সুভগো মূখং স্বাধরে ন্যস্ত বেনু, শ্যাম সন্তং তৃভঙ্গং রবিকরো
বসনাং ভুষিতং বৈজয়ন্তা বন্দে বৃন্দাবস্থাং
যুবতী সতবৃতং ব্রহ্ম গোপাল বেশম " !!
শ্রীমদ্ভাগবত এর এই শ্লোক শোনা মাত্র
শুকদেব গোস্বামী দাড়িয়ে পড়লেন ও ধুলায়
লুণ্ঠিত হয়ে মহাভাবে ক্রন্দন করতে লাগলেন , পিতা ব্যাসদেব পুত্রকে এনে
ভাগবত পুরাণ শাস্ত্রে শিক্ষা দিতে লাগলেন ।
পরে এই শুকদেব গোস্বামী পাদ নইমিশারণ্যে মহারাজ পরীক্ষিত কে মৃত্যু আসন্ন যেনে এই মহান ভাগবত কথা শুনিয়ে ছিলেন সেই প্রসঙ্গে আমি পরে আসবো । সে অনেক ব্যাপার ।
ক্রমশঃ ~
আপনেরা কেউ আমাকে ফলো করছেন না করছেন না , মনে হয় আমার লেখা আপনেরা পছন্দ করেছেন না । যাই হোক
পাশে থাকুন ধন্যবাদ সবাইকে ।
শ্রী কৃষ্ণ দাস সঞ্জয় শাস্ত্রী, নবদ্বীপ ধাম ! 🙏 16/4/2023,
Flow me
উত্তরমুছুন