পোস্টগুলি

Sanjay Kumar Goswami লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ভ্রমণ কাহিনী আসাম~

ছবি
ভ্রমণ কাহিনী~ কামাক্ষা মায়ের দর্শন !     আসাম গৌহাটি কামরূপ কামাক্ষা, খুব জাগ্রত এই মহাদেবী পুরাণে বর্ণিত আছে যে সত্যযুগে পিতা দক্ষের নিজের স্বামীর নিন্দা শুনে সহ্য করতে না পেরে সতী দেহত্যাগ করেন । তখন শিব অতি ক্রোধে রাজা দক্ষের মস্তক কেটে ছাগ মুণ্ড বসিয়ে দেন, পরে উন্মত্ত পাগলের মতন সতীর দেহ কন্দ্ধে করে ত্রিভুবন নৃত্য করে বেড়াতে লাগলেন । দেবতারা সেই প্রলয় নৃত্য দেখে তারা ভিত হয়ে শ্রী ভগবান বিষ্ণুর শরণাপন্ন হলো, শ্রী ভগবান বললেন হে দেবগণ বলো সমাচার তোমরা আমার কাছে এলে কেনো ? দেবগণ বলেন হে বিষ্ণুদেব এই বুঝি ত্রিভুবন ধ্বংস হয়ে যায়, ভোলানাথ সতী হরা হয়ে যে ভাবে নৃত্য করছে। বিষ্ণু তখন নিজের সুদর্শন চক্রের দ্বারা সতী দেহ একান্ন ৫১, ভাগে খন্ড খন্ড করে নানান স্থানে পতিত হয়, এবং সতীর যোনি পতিত হয় এই আসাম কামরূপ পাহাড়ে। এর অনেক ইতিহাস আছে সতী দেহ হারা হয়ে শিব শান্ত হয়ে তিনি বসলেন । আমরা নিজ বাড়ি নবদ্বীপ হইতে গৌহাটি হাওরা কামরূপ এক্সপ্রেস রিজাবেশন করে সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ আমি বাবা ও মা সবাই উঠে বসলাম ট্রেনে । ঝড়ের বেগে ডের দিন পরে এসে পৌঁছলাম গৌহাটি, আমরা এসে উঠলাম আমাদের

রায় রামানন্দ মিলন ~

ছবি
রায় রামানন্দ মিলন মহাপ্রভু আর রামানন্দ র মিলন দক্ষিণ ভারতে ~     শ্রী ধাম নবদ্বীপে রাধা কৃষ্ণ মিলিত তনু শ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু দক্ষিণ ভারতে ভ্যমন কলে মহাপ্রভু অনেক ভক্ত কে উদ্ধার করেছিলেন তাদের মধ্যে একজন ভক্ত হলেন শ্রী রায় রামানন্দ, এনি ছিলেন মহারাজের প্রধান মন্ত্রী ।  মহাপ্রভু নবীন সন্ন্যাসী কলি জীবের উদ্ধার লাগি গৌর হরি নিজ মা ও স্ত্রী কে পরিত্যাগ করে অল্প বয়োসে শ্রী কৃষ্ণ প্রেমে পাগল হয়ে নবদ্বীপ ছেড়ে চলেগেছেন, সবাইকে কাঁদিয়ে। প্রভুর ইচ্ছা ছিল বৃন্দাবনে যাবেন কিন্তু মায়ের আদেশে প্রভুর নীলা চলে বাস।  দক্ষিণে গোদাবরী নদী তীরে বসে আছেন প্রভু এমন সময় দেখলেন অনেক সৈন্য নিয়ে নানান বাদ্য সংযোগে খুব বিশিষ্ট কে আসছেন পালকি করে ।  তিনি নদীতে নেমে শ্বান সেরে উঠে এলেন এসে বিরাট এক অশ্বথ বিক্ষের নিচে এক জ্যোতির্ময় নবীন সন্ন্যাসী উপবেশন করে বসে আছেন। রামানন্দ তার কাছে গিয়ে সেই সন্ন্যাসী কে প্রণাম করলো, জিজ্ঞাসা করলো কে আপনি সন্ন্যাসী ? আমি এই রাজ্যের প্রধান মন্ত্রী । প্রভু আমি একজন সন্ন্যাসী ভিক্ষুক রামানন্দ, আপনি কি করে জানলেন আমার নাম ! আপনি কি আমাকে জানেন ? অবাক হইয়া বললো

শ্রীমতী রাধারাণীর অভিসার ও শ্রী কৃষ্ণ দর্শন ~ ৩ য় ভাগ !

ছবি
           শ্রীমদ্ভাগবত  পূর্বরাগ  ও অভিসার শ্রীমতী রাধারাণীর ভাগবতে বর্ণিত আছে  দ্বাপর যুগে  ৫২৫০, বছর পূর্বে  শ্বয়ম ভগবান শ্রী কৃষ্ণ নররুপে লীলা করে  লীলাময় ভগবান ।         এইটি  মহারাসের  পূর্ব  অবস্থা  নাইকা  শ্রীমতী রাধারাণীর ,  নায়ক  ব্রজেন্দ্র নন্দন  শ্রী কৃষ্ণের  বিরহে  যেমন  একটি প্রেমিকা তার প্রাণ প্রিয়তম কে  না দেখে থাকতে পারে না ।      ও তার সঙ্গে মিলনের জন্য সর্বদা  ব্যাকুল চিত্ত হইয়া থাকে, কিন্তু এই গভীর অন্তরের তার প্রেমাসিক্ত উজ্জ্বল ভাবের কথা যেমন নাইকা অন্য কে বলতে পারে না ।  যদি না সে যোগ্য কোনো তার মনের  অবস্থা বুঝবার মতন  কোনো প্রিয় মরমিয়া  সখী   থাকে  তাকেই সে তবে তার অন্তরের কথা প্রকাশ করে খুলে বলে          মনের ব্যাথা  অনেক টা  হাল্কা করে থাকে, শ্রীমতী রাধার  প্রীয় সখি ছিল  অষ্ট জন  এরা  খুব ভালো বন্ধু  ( বেস্ট ফ্রেন্ড ) রাধা  এদের কাছেই সব মনের কথা খুলে বলে ।  এ কথা কি  বলার কথা  অন্য  শুনলে  খারাপ  ভাববে,  তাই  রাধা কাউকে বলতে পারে না   সে তার সব কথা  তার প্রিয়  বান্ধবীদের কেই  বলে ।   রাধা  তার  নাগর কৃষ্ণ  কথা আলাপনে  ছিল  এমন সময়  সংকেত পে

🚩🕉️ মহা পুরুষ শ্রী রাম পূর্ণ ব্রহ্ম নারায়ণ সনাতন ~ শ্রী রাম নামের মহিমা বর্ণন 🙏

ছবি
        মহারাজ  রঘুর  সূর্য্য বংশের পরিচয় পাওয়া যায়  তার  বংশ ধর হলেন  রাজা দশরথ  তার জেষ্ঠ পুত্র হলেন শ্রী রাম নারায়ণ । শ্রী ভগবান বিষ্ণু  চতুর রূপে  আবির্ভূত হলেন  মহারাজ দশরথের  গৃহে  অযোধ্যায়  সূর্য্য বংশে  ।   জন্ম নিয়েছে  প্রভু  রাম  মহামুনি বাল্মীকি  রাম  জন্মানোর  ৬০,০০০, হাজার বছর  পূর্বেই রামায়ণ  লিখেছেন ।  ত্রেতাযুগে র   পৌরাণিক  কাহিনী ,  দশ অবতারের  ৭ ম অবতার  শ্রী রাম ।    বিমাতা কৈকির  বরে পিতৃ সত্য পালনের জন্য  শ্রী রাম  সীতা ও ভাই লক্ষণকে নিয়ে বনবাসী হলেন,  ১৪, বছরের জন্য ।  পঞ্চবটী বনে  রাবণ  ব্রাম্ভন্  ভিক্ষুকের বেশে  রামের ঘরণী  সীতা  মাকে  হরণ করে  নিয়ে  গেছে লংকায় , রেখেছে  অশোক কাননে  ন শোক অর্থাৎ যেখানে শোক নেই ।  মা সীতা হনুমান কে বললেন  আমি এই ভূমি কে খাতা করে  আমার  নয়ণের জল কে  করে আর আমার হাতের  আঙ্গুল  কে কলম  করে  তাতে আমি রাম নাম  লিখি , এই ভাবেই  আমার  সময় কাটে হনুমান ।  তুই কেনো এখানে এলি হনুমান ,  সীতা জিজ্ঞাসা  করলো  !  হনুমান বললো মা  বাবা রাম চন্দ্র  আমাকে বলল  হুনু তুই গিয়ে একবার তোর  মা জানকী কে  দেখে  আয় , তুমি  ছাড়া  আ

🚩 শান্তিপুর পুরন্দর শ্রী অদ্বৈত আচার্য্য ~🙏।

ছবি
          শান্তিপুর পুরন্দর কৈলাশ পতি সদা শিব অবতার মহাবিষ্ণু  শ্রী অদ্দৈত্ব আচার্য্য  অ-দয়িত ভেদাভেদ জ্ঞান রোহিত  যিনি  মহাজ্ঞানী  " সর্বং খললিদং ব্রহ্ম "  যিনি এক ব্রম্ভে  স্থির হইয়া গিয়েছেন  সমগ্র  জগত্ময়  যিনি  ব্রহ্মময়  অনুভব ও দর্শন  করেন  এবং ব্রহ্ম ব্যতীত  যিনি আর দ্বিতীয়  কিছু  জানেন না  ও কিছুই দেখেন  না  তিনি   আত্ম জ্ঞানী   তিনি  ব্রহ্ম বীদ  ও তিনি  অদ্দ্বৈত  জ্ঞানী ।  তিনি  সাক্ষাৎ  শিব ভবেৎ স্বয়ম , তিনি  ভবে  সাক্ষাৎ  শিবই  হন ।  (  বৃহৎ তন্ত্রসার এ আছে  )        এনারা হলেন  শ্রী  ভগবানের  নিত্য সিদ্ধ  পার্ষদ , ইনি  গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর আসার অনেক পূর্বেই  এই ধরা ধামে  আসিয়াছেন ।  তার  ঘরণী  সীতা ঠাকু রানী  ও তাই তিনি সীতা পতি সিতনাথ , অদ্দ্বৈত  প্রতিদিন সুরোধনি  গঙ্গা  তীরে  বসে  নারায়ণ শালগ্রাম  শিলায়  সেবা করেন,   তুলসী পত্র আর গঙ্গাজল  দিয়ে  নয়নের জলে  বুক ভাসিয়ে  কেঁদে কেঁদে  তার অর্চনা করেন  আর বলেন , হে বজেন্দ্র নন্দন শ্রী কৃষ্ণ  একবার এসো প্রভু  তুমি একবার  এসে দেখো  তোমার কোলিজীব  তোমার  নাম ভজন কেউ করেনা  এরা  অধর্মের প্রভাবে সবাই নরকে 

চাপাল গোপাল উদ্ধার নবদ্বীপে ~

ছবি
 পাষন্ড গোপাল উদ্ধার~  শ্রী ধাম নবদ্বীপ অদ্যপিয় সেই লীলা করে গোড়া রায় কোনো কোনো ভাগ্যবান দেখিবার এ পায়। ১৪০৭ শকাব্দ প্রায় ৫৩৫ বছর পূর্বে ফাল্গুনী দোল পূর্ণিমায় সেদিন ছিল পূর্ণ চন্দন গ্রহণ,  আবির্ভূত হয়েছেন কলিযুগের যুগ পাবন অবতার স্বয়ং ভগবান শ্রী কৃষ্ণের অবতার শ্রী মন মহাপ্রভু গৌরাঙ্গ সুন্দর ।       পিতা শ্রী জগন্নাথ মিশ্র আর মাতা শচী রানী দেবী, বাল্যকাল থেকে অনেক লীলা খেলা করে গৌর ভগবান ।  নিত্য নবদ্বীপের শ্রীবাস অঙ্গনে উদয় অস্ত চলে কৃষ্ণ নাম সংকীর্তন, প্রাতঃকালে প্রভু বাড়ি যান ।       নিত্যদিনের মতন আজও গৌর সুন্দর শ্রী বাস অঙ্গনে সারা রাত ধরে কীর্তন করছেন রাত তখন তিনটে নাগাদ হবে, যারা তৎকালীন সময় মহাপ্রভু কে সহ্য করতে পারতেন না, কিন্তু তারা ছিলেন সব বিখ্যাত  পণ্ডিত সেই পন্ডিতগণ সারারাত বসে রাস্তার ধারে নিমাইয়ের বিরুদ্ধে জটলা করে। দেখুন বিদ্যা লঙ্কা পণ্ডিত, ন্যায় তীর্থ, আগম্বাগিশ ন্যায় রত্ন, বিদ্যা ভূষণ মহাশয় নিমাই সবাইকে বলে কেবল হরি নাম করো এই কলি যুগে নাম ছাড়া অন্য কোন গতি নাই, কিন্তু আমাদের পূজো পাঠ না হলে আমাদের সংসার আর চলে না। এমন কি কেউ নেই যে নিমাইয়দ