🚩 শান্তিপুর পুরন্দর শ্রী অদ্বৈত আচার্য্য ~🙏।

         শান্তিপুর পুরন্দর কৈলাশ পতি সদা শিব অবতার মহাবিষ্ণু  শ্রী অদ্দৈত্ব আচার্য্য  অ-দয়িত

ভেদাভেদ জ্ঞান রোহিত  যিনি  মহাজ্ঞানী  " সর্বং খললিদং ব্রহ্ম "  যিনি এক ব্রম্ভে  স্থির হইয়া গিয়েছেন  সমগ্র  জগত্ময়  যিনি  ব্রহ্মময়  অনুভব ও দর্শন  করেন  এবং ব্রহ্ম ব্যতীত  যিনি

আর দ্বিতীয়  কিছু  জানেন না  ও কিছুই দেখেন 

না  তিনি   আত্ম জ্ঞানী   তিনি  ব্রহ্ম বীদ  ও তিনি  অদ্দ্বৈত  জ্ঞানী ।  তিনি  সাক্ষাৎ  শিব ভবেৎ স্বয়ম , তিনি  ভবে  সাক্ষাৎ  শিবই  হন ।

 (  বৃহৎ তন্ত্রসার এ আছে  ) 

      এনারা হলেন  শ্রী  ভগবানের  নিত্য সিদ্ধ  পার্ষদ , ইনি  গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর আসার অনেক পূর্বেই  এই ধরা ধামে  আসিয়াছেন ।  তার  ঘরণী  সীতা ঠাকু রানী  ও তাই তিনি সীতা পতি

সিতনাথ , অদ্দ্বৈত  প্রতিদিন সুরোধনি  গঙ্গা  তীরে  বসে  নারায়ণ শালগ্রাম  শিলায়  সেবা করেন,   তুলসী পত্র আর গঙ্গাজল  দিয়ে  নয়নের জলে  বুক ভাসিয়ে  কেঁদে কেঁদে  তার

অর্চনা করেন  আর বলেন , হে বজেন্দ্র নন্দন শ্রী কৃষ্ণ  একবার এসো প্রভু  তুমি একবার  এসে দেখো  তোমার কোলিজীব  তোমার  নাম ভজন

কেউ করেনা  এরা  অধর্মের প্রভাবে সবাই নরকে  যাচ্ছে প্রভু ।  সিতানাথের মন কাঁদে সদা

কলিহত জীব লাগি , ও  হুংকার করেন ।

      আর থাকতে পারলেন না  স্বয়ং ভগবান শ্রী কৃষ্ণ  দোল পূর্ণিমার  চন্দ্র গ্রহণকালে  ফাল্গুন  মাসে  নবদ্বীপ ধামে  শচী গর্ভ সিন্ধু আলো করে

আবির্ভূত  হলেন  ব্রজেন্দ্র নন্দন  শ্রী কৃষ্ণ রাধা ও  গোবিন্দ  যুগল  কিশোর  একাকৃত  মিলিত

তনু হইয়া   পরম প্রেমময় পুরুষ  আমাদের  গৌর ভগবান রূপে  জন্ম নিলেন ।  ১৪০৭ শকাব্দ এ  ৫৩৫ বছর  পূর্বে ! চতুর্দিকে তখন হরি নাম সংকীর্তনের  আনন্দে  মুখরিত আকাশ

ও বাতাস  ।  এই সেই  গৌর অনা নিধি  অদ্দ্বৈত 

আচার্য্য !  এনি ছিলেন  গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর  পিতা

ও  মাতার গুরুদেব  ।  গৌরাঙ্গ দেবের পরম গুরু,  সবাই গৌর কে  প্রণাম করে  কিন্তু  প্রভু 

কোনোদিনও  আদ্দৈতের  প্রণাম নিতেন না  পরম গুরু বলে ।  একদিন  মহাপ্রভু  শান্তিপুরে

গিয়েছিলেন  দেখলেন  অদ্বৈত  বিকালে  তার 

     অঙ্গনে বসে  ছাত্রদের  ভুল  বেদান্ত  শিক্ষা দিতে শুরু করলো  প্রভু কে  দেখে ! 

       কৃষ্ণ ভক্তি শিক্ষা করে কোনো লাভ নেই ,  তার  থেকে বেদান্তের  নেতি নেতি  আমি  দেহ 

নই  আমি  আত্মা  ও আমি ব্রহ্ম  এই ভক্তি সাধন  শ্রেষ্ঠ  বুঝলে  ছাত্রগণ ।  ওসব কৃষ্ণ  ভক্তি  টক্তি  করে কিছু  হয় না ।  প্রভু  শুনলেন

খুব রেগে ভাবলেন  সিতানাথের  বুড়ো বয়সে একি  ভীমরতি হলো, সারা জীবন ধরে কৃষ্ণ ভক্তি করে  এখন এইসব কি বলছে ।  প্রভু তখন

এসে  অদ্দয়িতের পিঠে পদাঘাত করলেন , তাড়াতাড়ি  অদ্বৈত উঠে নাচতে লাগলেন  আজ

কি আনন্দ আমার ।  প্রভু বলে তোমার  কি  মাথা খারাপ হয়ে গেছে , যে তুমি সবাইকে ভুল

শিক্ষা দিচ্ছ ।

       অদ্বৈত বলেন প্রভু তুমি সবার প্রণাম নাও  কিন্তু তুমি আমার প্রণাম নাও না  আজ আমি  ইচ্ছা করেই এই ভুল ব্যাক্ষা করে ছিলাম বলে আজ আমি তোমার  চরণ  পেলাম  প্রভু ।  তোমার চরণ  চরণ  পাবার  জন্য আমি  এই 

ভুল ব্যাখ্যা করেছি  তুমি আমাকে ক্ষমা কর প্রভু ।   

       অদ্দৈত  প্রভুর  একমাত্র ছেলে হলেন  অচ্ছুদানান্দ গোস্বামী  ! রাধা মদন গোপাল দেবের প্রতিষ্ঠা করেন  অদ্বৈত প্রভু  শান্তিপুরে ,

শান্তিপুরের  দ্বাদশ দোল  বিখ্যাত  ফাল্গুন মাসে অনুষ্ঠিত হয় ।  তার ঘরণী সীতা দেবী হলেন সাক্ষাৎ দূর্গার অবতার ,  মহাপ্রভু রেগে গেলে

নাড়া বলে ডাকতেন  কারণ  প্রভু বলেন  তুমি আমার গোলকের সিংহাসন এমন নাড়া দিয়ে 

ছিলি আমি গোলক ছেড়ে এই ভুলোকে চলে

এলাম ।  তাই প্রভু অদ্বৈত কে নাড়া বলে ডাকতেন ।  

       অদ্বৈত  প্রভু  জিজ্ঞাসা করলো গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু কে ,  প্রভু  কলি জীব  কি করলে  উদ্ধার  পাবে ।  প্রভু  বলেন  কলি যুগের ধর্ম

নাম সংকীর্তন  একমাত্র  কেবল নামই   সার 

নাম ভিন্ন অন্য  কোনো কোনো  গতি নাই গতি 

নাই গতি নাই ,  তিনবার  বললেন  গৌর সুন্দর ।

      নিরন্তর করো তুমি নাম সংকীর্তন, এ নাম জপিতে  জপিতে  পায়  শ্রী কৃষ্ণের  চরণ ।

        খাইতে শুইতে  নাম  কথা তথ্য  লয়,

  দেশ কাল   নিয়ন নাই তার  সর্ব  সিদ্ধি হয় । 

      জয় গৌর ভগবান  জয় সীতানাথ  অদ্বৈত ।

পড়তে থাকুন ধন্যবাদ  ক্রমশঃ `~ 

       শ্রী কৃষ্ণ দাস সঞ্জয় শাস্ত্রী, নবদ্বীপ ধাম ! 

গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু মন্দির ।