ভুতের গল্প সত্য ঘটনা ! Real Horror Story ~

 Ghost stories are true stories

     I got stuck at the station one day. Some people told me not to go home at night. Go home at dawn because it was late. About two days, good or bad. Then in Navadwip.

  । আমাকে  বার বার তারা নিষেধ করতে লাগলো তুমি এখন বাড়ি জেও না  কারণ  রাত প্রায় দুটো হবে  ট্রেন থেকে নামলাম  স্টেশনে  ট্রেন খুব লেট ছিল  কোলকাতায় খুব গন্ডগোল  স্টেশনে অনেক লোক ছিল । 
      তখন  নবদ্বীপ  যেনো  একটা আতংকের  জন্মভূমি  দিনরাত শুধু বোমাবাজি  দিনরাত মানুষ ভয়ে বাড়ির বাইরে বেরোতে পারে না ,  সন্ধ্যায় মেয়েরা পড়তে যেতে পারে না  রাস্তায়  বেরতেও পারে না নির্ভয়ে ।  তখন  শুধু  কংগ্রেস আর সি পি এম  এর  দলাদলি  দাঙ্গা বর্তমান  সময়ের মতন এত উন্নত ছিলনা নবদ্বীপ  রাস্তা ঘাটে  সেরকম  আলো ছিল না একটি করে  ১০০/ পাওয়ারের বাল্ব জ্বলত একটু দূরে  রাস্তায় রাস্তায়  ভালো  করে দেখা যেতনা  সব যেনো অন্ধকার  লাগতো  ।  আজ থেকে প্রায়   ১৯৮০/৯৫ সাল  হবে  যারা ওই সময় এসেছেন নবদ্বীপে তারা ভালো করেই জানেন  ভয়ে কেউ আসতে পারতো না  বিশ্ব বিখ্যাত  গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর দর্শনে এই  নবদ্বীপ ধামে,  সেই কি ভয়ঙ্কর  সময়  ছিল  যাই হোক  আমি দেয়ারা পাড়ার রাস্তা  ধরে  হাঁটতে লাগলাম  এটি  এখানকার  শ্মশানের  রাস্তা ।  দূরে দূরে বসবাস করছে মানুষ কিছু  বাড়ি ঘর  একেবারে শুনশান নিস্তব্দ পরিবেশ   যেনো  ভয়ঙ্কর  বিভীষিকার  মূর্তি ধারণ করেছে  দেখলেই  যেনো  বুক কেপে উঠে ,  ডান দিকে কিছুটা ভিতরে গঙ্গার ধারে  নবদ্বীপের তারা মায়ের শ্বসান ঘাট  এখানে অনেক দূর থেকেও  মরা নিয়ে আসে  মানুষ  এই শ্বশানে  দাহ  করার জন্য  ।  উপরে শ্মশান কালী মন্দির  বাম দিকে আদি মন্দির  আছে  খুব জাগ্রত কালো ভিষণা  রূপ  সেই  মায়ের  আদি তন্ত্র সাধনার  পীঠ  এই নবদ্বীপ  অনেক সিদ্ধ ভৈরব তান্ত্রিকদের আগমন  ঘটেছে এখানে  বহুকাল ধরে  চলে আসছে  তন্ত্র সাধনা,   মায়ের  সিদ্ধ আসন  পঞ্চ মুন্ডির আসন  কেউ বসতে পরে না  যোগ্যতা  ছাড়া  এই  আসনে  মুখে রক্ত উঠে সঙ্গে সঙ্গে তার মৃত্যু হয় কেবল মায়ের আদেশ হলে পারে   সে  ।  আসুনের নিচে  পাচটি  মাথা  আছে   । ১/ কুমারী নারী,  ,২/ বিষধর সাপের মাথা ৩/ কুকুরের মাথা ৪/ কালো বিড়ালের ৫/ শৃগালের মাথা ,  এই পাঁচটি মাথার  উপরে জাগিয়ে  পঞ্চ মুন্ডির আসন  সিদ্ধ হয় ।   তন্ত্র  সাধনার  এটি হলো সিদ্ধ আসুন  বহু বছর পূর্বে  এক সিদ্ধ ভৈরব এই আসুনে  বসে  সাধনা করে সিদ্ধি লাভ করেন ।  এখন আর  কেউ বসেনা  সেই আসনে  খুব গম্ভীর ও নির্জন মায়ের  ঘর  কেমন যেন এক আশ্চর্য্য  বলে মনে হয়,  মাকে প্রণাম করে  আবার  হাটতে শুরু করলাম মা তুই আমাকে রক্ষা  করিস ।  মাকে আমি ছোটো থেকে তুই বলেই  ডাকি  অল্প বয়স থেকে আমি তন্ত্র সাধনার  মধ্যেই আছি,  এবং আমি চিরকালই  শ্বস্বান ভুত প্রেত আমার খুব ভালো লাগে  আর  সব সময় খুব দুরসাহসিক ও নির্ভীক ছেলে  আমি  আমি জানি লজ্জা ঘৃণা ভয়  তিন থাকতে নয়  তবেই  সে তন্ত্র সাধনা করতে পারে ।  যাই হোক  মন্দির থেকে একটু দূরে  বাম দিকে  বিশাল  বাঁশ বাগানের  রাস্তা  একটাই পথ  আর রাস্তা নেই,  অন্ধকারে চাঁদের আলো  ক্ষীণ  জ্যোতি বাবু আমাদের  নবদ্বীপের জন্য  কিছুই করেন নি  কি আর বলবো  বলার কিছুই নেই  বন্ধুরা ।  আর মায়ের মন্দিরে  গায়ে বহু প্রাচীন  বট ও অশ্বত্থ গাছ  অনেক   ভক্ত মানসিক করে দরি ও ঢিল  বেঁধে রাখে   বেশ গা টা  এবার  ভার ভার  লাগছে  ছম্  ছম  ভাব  মনে হচ্ছে   আমি বাঁশ বাগানের  পাশ দিয়ে  হাঁটছি   হঠাৎ  দেখলাম   বাঁশ  গাছে  আগুন  জলে উঠলো   কিন্তু এত রাতে  আগুন এলো কথা থেকে  তাই আবার  গাছের উপরে  বাঁশ গাছ খুব বড়  আর বেশ  লম্বা হয় ।  কি জানি  এই  চিন্তা  করতে না  করতেই  হঠাৎ কি বিকট আওয়াজ শুনে আমি রিতিমত  হতভম্ভ  হয়ে  গেলাম  তারপর শুনতে পেলাম  কান্নার আওয়াজ  সে কি বিচ্ছিরি   এটা কোনো  মানুষের কান্না নয় কিন্তু এত রাতে এই  নির্জন  বাগানে  কে  কাঁদছে  আমার মনে   এই জিজ্ঞাসা  হতেই  দেখি  একটা  অশরীরী  ছায়া  কি যেনো  চলে গেলো ।  এইবার আমার  বেশ টনক নড়ল  তবে  সবাই  যেটা  বলে  সেটাই কি  সত্যি,  কিন্তু  এখন কি করবো  ফেরার পথ  নেই   সর্বনাশ  কিছুক্ষন  পরেই  ধপাস  করে  গাছে  এসে  বসেই  বিরাট বিরাট  দুটো  পা  নেমে  এলো  রাস্তার  দুই ধারে  পথ  আগলে  দ্বারালো   নাকে    নাকে  সুর  করে  আমাকে  বলল  আজ  তোকে আমি  যেতে  দেবো না  ।   ছোটো বেলায় শোনা  ছড়া  বলতে  লাগলাম  আমি এখন কিংকর্তব্য বিমূঢ়  হয়ে  পড়েছি  এর হাত থেকে  রেহাই পেতে হবে তো  !  " ভূত  আমার পুত  পেত্নী আমার ঝি ,  রাম লক্ষণ  সাথে  আছে  তুই করবি আমার  কি "?   তার পর  আমার  পৈতে  বার করে  গায়ত্রী  মন্ত্র জোরে উচ্চারণ করে আমি  জপ করতে  লাগলাম ,  গলায় আমার শোধন করা  তুলসী আর  রুদ্রাক্ষের  মালা  ও মহা ত্রিপুরা সুন্দরী মহা কবচ  ধারণ করা আছে  এবং  আমি  তন্ত্র   সাধনার পথেই  আছি  প্রবল মনে  জোর  আমার   আমি তখন নির্ভীক  ভাবে বললাম  তুই আমার  পথ  ছার   আমাকে  যেতে  দে   বাড়িতে  আমার  মা  চিন্তা  করছে   তুই  যা   বলছি   বিশ্বাস করুন  আমি  বিন্দু   মাত্র  মিথ্যা বলছি না  বা  গল্পও  শুনছি  না  এটা  সত্য  ঘটনা  ।   আমি  এক ভাবে  করেই চলেছি  গায়ত্রী মন্ত্রের জপ  তারপর বললো  আজ  তুই  বেঁচে  গেলি   তোকে  ঘার মোটকা তে  পারলাম  না   এই  বলে  কোথায়  দুম  করে  আওয়াজ করে  মিলিয়ে  গেলো ।  এই একটা  আমার জিবনে   আর্চর্য্যজনক  অভিজ্ঞতা  হলো  আমি  এর পরে আরো  দুই  তিনবার   ভুত  দেখেছিলাম   কিন্তু  তারা আমাকে  দেখেছে   পারেনি  কিছু  করতে  আমার   সেসব   কথা  আমি  বলবো  পরে  আপনাদের কে ।   আমি  ঈশ্বর কে  ডাকতে ডাকতে  তাড়াতাড়ি  বাড়ি  চলে  এলাম  !    পরে  মাকে  আমি  বললাম সব  কথা   মা বললো  শ্রী ভগবান তোকে  রক্ষা  করেছে ,  পরে  একজন  বয়স্কো  লোককে  এই  ব্যাপারে  জিজ্ঞাসা  করায়  সে  বললো   হ্যাঁ  এটা  সত্য কথা   ওখানে  একটা  বাড়ি  আছে  সেই  বাড়ির  ছেলের  বউকে  স্বামী আর  শ্বশুরবাড়ির লোকজন  জোর  করে  নিয়ে গিয়ে তাকে  ওরা  গলায়  কাপড়ের  ফাঁস  দিয়ে মেরে  গাছে  ঝুলিয়ে  দেয়  অপরাধ কি  না  বউটার বাবা খুব গরীব  পনের টাকা  পুরো  দিতে  পারেনি   তাই তার  এই  পরিণতি  ও  সেইদিন  ছিল   শনিবার  অমাবস্যা   রাত  ১২/  পর  ওকে হত্যা  করা হয় ,  তার  সেই  অতৃপ্ত আত্মা  আজও  ওই  বাঁশ বাগানে  ঘুরে  বেড়ায়  তার  কোনো  পারলৌকিক  ক্রিয়া কর্ম ও  তো  করেনি   কেউ  তাই  তার   আত্মার  মুক্তি   লাভ  হয়  নি  ।   তোমার  কপাল খুব  ভালো  যে তুমি  ওখান থেকে বেঁচে  ফিরে  এসেছ ,  সন্ধ্যার  পর  ওই  রাস্তায়  কেউ  যায় না  বাবা  রাম রাম রাম  বলে  কাকু  চলে গেলেন  ।   তবে বর্তমানে  অনেক উন্নত হয়েছে  আলো  অনেক হয়েছে   বাঁশ বাগান আর  নেই  সেখানে  কালী পূজা  হয় ,  
    এই আমার  জীবনের  ভূতের গল্প  এই রকম আমার নিবনে  অনেক ঘটনা আছে যাই হোক   এখানেই শেষ করলাম  ভালো থাকবেন  আর  ফলো করে সঙ্গে থাকবেন ।

     লেখক সঞ্জয় কবি ~ নবদ্বীপ ধাম ।
 26/4/2023/ 

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

sanjaykumar goswam104@gmail.com

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

রঘুনাথ দাস গোস্বামী

Ramayon Ki Mhima