অহল্যা পাষাণী উদ্ধার ~

 অহল্যা পাষাণী উদ্ধার ~ সত্যযুগে পূরণ কাহিনী  মহামুনি  ঋষি গৌতম ছিলেন মহা জ্ঞানী ও সর্ব বিদ্যায় পারদর্শী, তার স্ত্রী হচ্ছেন অহল্যা সতী সে ছিলেন অপরূপ সুন্দরী যার  রূপে মুগ্ধ করে ত্রিভুবন ।  কিছুদিন ধরে দেবরাজ ইন্দ্র ঋষি গৌতমের তপোবনে বিদ্যা অভ্যাস করতে আসেন বিষয় কি আত্মতত্ত জ্ঞান ।  তৎ পরে তিনি তপস্যায় যান আজ পথে আসতে দেখলেন  স্বান্ সেরে সরোবর থেকে উঠে আসছেন পরনে পাতলা জলে ভেজা সিক্ত বসন, তার শরীরের গোপন অতি মনোরম সুন্দর্যের স্থান গুলি সে দর্শন করতে লাগলেন । কি অপূর্ব সুন্দর করে একে গড়েছে বিধি পাতলা সিক্ত বসন হতে যেনো দেহের  গুপ্ত কামের ষোলো কলা কাম যেনো ফুটে উঠেছে তার সর্ব অঙ্গে, কি অপূর্ব সেই শোভা কামাসক্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল ইন্দ্র ~কাকে কলসী পূর্ণ বারি ।  অহল্যা গৃহে প্রবেশ করলেন সেই রূপ দর্শনে ইন্দের দেহে ও মনে প্রবল কামবাসনা জাগরিত হলো, দেবরাজ হোয়ে ও শ্রী ভগবান এর মায়ায় হলো তার বুদ্ধি ভ্রষ্ট । তিনি গুরু পত্নী হরণ করে কি উপায়ে সে অহল্যার দেহ ভোগে নিজের কামবাসনা চরিতার্থ করার উপায় চিন্তা  করতে লাগলো, আবার ইন্দ্র কয়েকদিন পর এলো ঋষি গৌতমের কুঠিরে ছল করে এসে দেখলেন গুরু গৌতম বাসায় নেই এবং তিনি অহল্যা কে নানান ভাবে প্রলোভিত করতে লাগলেন কিন্তু সতী তার পতি ছাড়া কিছুই জানেনা বুঝলেন যে এখানে সহজে ডাল গলবে না,  তিনি প্রস্থান করলেন ।   কিছুক্ষন পর তিনি আবার তার স্বামী গৌতমের রূপ ধারণ করে এলেন কারণ এটাই একমাত্র উপায় এছাড়া আর কোন উপায় নেই ।  সুচতুর ইন্দ্র মদন জ্বালায়  জ্জ্বজ্জরিত  হইয়াছে তাকে দেখে  বেশ বিষ্ময়ের  সুরে  বলে উঠলেন অহল্যা,  স্বামী  আপনি তো তপস্যায় গিয়াছিলেন  এর মধ্যেই  ফিরে এলেন ।  হ্যাঁ দেবী  তোমার কথা আজ আমার  খুব স্বরণ  হচ্ছে  আজ কিছুতেই  আমি  ব্রহ্ম চিন্তায়  মনও নিবেশ করতে  পারছি না তাই আমি তোমার কাছে ছুটে এলাম  তুমি  আমার মনোবাসনা পূর্ণ  করো এটাই সতীর ধর্ম দেবী ।  আচ্ছা স্বামী আপনার যা ইচ্ছা, তাহলে কুঠিরে আমরা প্রবেশ  করি , এই বলে দ্বাদশ দণ্ডকাল ইন্দ্র অহল্যার সহিত রতি ক্রিয়ায় ভোগ বাসনা  পূর্ণ করলো ।  তারপর ইন্দ্র অন্তর্ধান হলেন ধ্যানে জানলেন মুনি,  এসে দেখলেন আলু থালু ভাবে সম্ভোগের চিহ্ন নিয়ে বসে আছে  অহল্যা ।  মুনি বলে তোমার এই দশা কে করেছে ?  সব খুলে বলে অহল্যা সে শুনে ক্রুদ্ধ হইয়া অভিশাপ দিলেন  তোর নারীর  যোনির প্রতি এতটাই আসক্তি  তুই গুরু পত্নী বলে জ্ঞান করলি না, সেই  সহস্র ভগ  তোর সর্ব  শরীরে হোক আর অহল্যা তোকে আমি  অভিশাপ দিলাম তুই পাষাণী হয়ে যা ।  অহল্যা ঋষি গৌতমের পা ধরে কাঁদতে লাগলো স্বামী আমায় ক্ষমা করুন,  এইবার ঋষি গৌতমের দয়া হলো  তিনি বললেন  ত্রেতাযুগে শ্রী ভগবান রাম চন্দ্র সূর্য্য বংশের রাজা দশরথের জেষ্ঠো পুত্র  রূপে জন্ম গ্রহণ করবেন, তার চরণ পর্শ্ব হলে তোর পাষাণ শরীরে সেইদিন তুই এই পাষাণ শরীর থেকে উদ্ধার হবি ।  এইদিকে স্বর্গ রাজ্যে দেবরাজ ইন্দ্র ঘরের বাইরে আর বেরোতে পারে না লজ্জায় ঋষি গৌতমের অভিশাপে তার সর্ব অঙ্গে ভগ চিহ্ন কি করবে এখন  সে  ভীষণ চিন্তায় পড়লেন ইন্দ্র ।  সারা গায়ে  কাপড় জড়িয়ে থাকে মহা সমস্যা হলো  এমন সময় নারদ মুনি এসে বললো,  দেবরাজ  তুমি ঋষি গৌতমের নিকটে যাও ও ক্ষমা চাও সেই একমাত্র পারবে তোমাকে এই দুর্গতির হাত থেকে রক্ষা করতে । দেবরাজ ইন্দ্র ঋষি গৌতমের নিকটে পৌঁছে পায়ে ধরে ক্ষমা চাইলেন, মুনি বললেন অভিশাপ একেবারে ফিরিয়ে নেওয়া যায় না দেবরাজ তবে আমার আশীর্বাদে তোমার সহস্র যোনির পরিবর্তে  তোমার সর্ব অঙ্গে সহস্র লোচন হোক ।  ইন্দ্র মুনিকে প্রনাম করে স্বর্গে ফিরে গেলেন !  অহল্যা মনে চিন্তা করে দেখল বর্তমান সত্যযুগ চলছে এরপর আসবে দ্বাপর যুগ তারপর ত্রেতাযুগে  সেতো অনেক বৎসর পাষাণ হয়ে আমায় থাকতে হবে, অহল্যা পাষাণী দেহে শ্রী ভগবান বিষ্ণুর অত্যন্ত কঠোর তপস্যা করতে লাগলেন  ওঁ নমঃ ভাগবতে বাসুদেব নমঃ !  এক লক্ষ বৎসর সাধনা করার পর নারায়ণ দর্শন দান করে বললেন হে দেবী তুমি কি বর চাও বলো, অহল্যা বলে হে নারায়ণ এই সত্যযুগ এর পর  আপনি  ত্রেতা যুগ কে নিয়ে আসুন আমাকে এই বর দিন ।  শ্রী ভগবান বিষ্ণু  বলেন  তথাস্তু তাই হোক দেবী ! যা কোনোকালে সম্ভব নয় কিন্তু তুমি তোমার তপস্যার বলে  তাই সম্ভব করে দেখালে দেবী, অহল্যা শ্রী ভগবান বিষ্ণু র স্তব করলেন,  শ্রী ভগবান বিষ্ণু অন্তর্ধান হলেন ।  এই সেই ত্রেতা যুগ দ্বাপরের পূর্বেই এসেছেন কুলোগুরু বিশ্বামিত্র মাহামুনির সঙ্গে রাম ও লক্ষণ তারকা রাক্ষসী কে বিনাশ করতে গভীর বনে প্রবেশ করেন,  মুনি বলেন হে রাম তোমরা দুই ভাই অহল্যার পাষাণ খন্ড দেখিয়ে বলেন এই প্রস্তর খন্ড কে ঘিরে সুন্দর নিত্য করো ।  তখন দুই ভাই সেই পাষাণ খন্ড ঘিরে নিত্য করতে করতে অন্তর্যামী  শ্রী রাম তার দক্ষিণ চরণ পরশ করলেন, অমনি এক সেই পাষাণ খন্ড হতে  মানবী  বেরিয়ে এলো রাম বলেন গুরুদেব এ কে ?  মুনি সব পূর্ব বৃত্তান্ত শ্রী রাম কে বলেন , অহল্যা প্রভু রাম কে প্রণাম করে সে  মুক্ত  হয়ে  বৈকুণ্ঠের উদ্দেশে গমন করলেন । জয় শ্রী রাম   অহল্যা পাষাণী প্রভু রাম উদ্ধার করলেন,   

     ক্রমশঃ `~   শ্রী কৃষ্ণ দাস সঞ্জয় শাস্ত্রী, নবদ্বীপ ধাম । 

দরকার হলে ফোন করে আমার সঙ্গে  যোগাযোগ করতে পারেন  আরো  কি ভালো লিখলে  আপনেরা  খুশি হবেন ।
 ফোন ~ 6296935335. ! 

































































































 

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

sanjaykumar goswam104@gmail.com

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

রঘুনাথ দাস গোস্বামী

Ramayon Ki Mhima